Thursday, April 2, 2015

Bangla Namaj Shikkha

উজু গোসল তায়াম্মুম নামাজ

উজুতে ফরজ ৪ টি :
১. সমস্ত মুখ ধোয়া  ২. দুই হাতের কনুইসহ ধোয়া  ৩. মাথা মাসাহ্ করা  ৪. দুই পায়ের টাখনুসহ ধোয়া

উজু করার ত্বরীকা :
১. উজুতে নিয়্যাত করা সুন্নাত
২. উজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত
৩. দুই হাতের কব্জিসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত
৪. মিস্ওয়াক করা সুন্নাত
৫. তিনবার কুলি করা সুন্নাত
৬. তিনবার নাকে পানি দেওয়া সুন্নাত
৭. সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া সুন্নাত
৮. ঘন দাড়ি খিলাল করা মুস্তাহাব
৯. দুই হাতের
১০. দুই হাতের আঙ্গুলী খিলাল করা সুন্নাত
১১. সমস্ত মাথা একবার মাসাহ্ করা সুন্নাত
১২. দুই কান মাসাহ্ করা সুন্নাত
১৩. গর্দান মাসাহ্ করা মুস্তাহাব
১৪. দুই পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত
১৫. দুই পায়ের আঙ্গুলী খিলাল করা সুন্নাত
১৬. উজুর শেষে কালিমায়ে শাহাদাত পড়া মুস্তাহাব
اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده و رسوله

গোসলের ফরজ ৩ টি

১. কুলি করা  ২. নাকে পানি দেোয়া  ৩. সমস্ত শরীর ধৌত করা

গোসলের ত্বরীকা :
১. ইস্তিঞ্জা করা
২. শরীর বা কাপড়ে নাপাক লেগে থাকলে তা প্রথমে পরিস্কার করা
৩. গোসলের পূর্বে উজু করা
৪. মাথায় পানি ঢালা, তারপর ডান কাঁধে ও পরে বাম কাঁধে পানি ঢালা। অত:পর সমস্ত শরীর তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করা।
৫. মহিলাদের জন্য কানে নাকে অলঙকারাদি থাকলে; তার ছিদ্র ো আংটি, চুড়ি বা ময়লা ইত্যাদি নাড়া চাড়া করে পানি পৌছিয়ে দেয়া।
৬. শরীরের যেই সমস্ত অঙ্গে সাধারণত : পানি পৌছতে চায়না, যেমন: কান, আঙ্গুলের ফাঁক, কনুই, বগলের নীচ, চোখের কিনারা, চুলের গোড়া ইত্যাদি খেয়াল করে পানি পৌছানো। (নখে নখপালিশ থাকলে; তা সম্পূর্ণ না উঠানো পর্যন্ত উজু, গোসল হবে না)।
৭. গোসলের ভিজা কাপড় তিনবার ধুয়ে তিনবার নিংড়ানো।

 তায়াম্মুম
পানি না পাওয়ার কারণে অথবা অসুস্থতার কারণে যখন মানুষ পানি ব্যবহার করতে অক্ষম হয়, তখন উজু ও গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করতে হয়। তায়াম্মুম পবিত্র মাট বা মাটি জাতীয় জিনিস দ্বারা করতে হয়।

তায়াম্মুমে ফরজ ৩ টি

১. নিয়্যাত করা  ২. সমস্ত মুখ একবার মাসাহ্ করা  ৩. দুই হাতের কনুইসহ একবার মাসাহ্ করা।

তায়াম্মুমের ত্বরীকা :
১. প্রথমে নিয়্যাত করিবে : ‍"আমি তায়াম্মুম দ্বারা (নামাজের জন্য) পবিত্রতা হাসিল করতেছি।
২. দুই হাতের তালু পবিত্র মাটি অথবা মাটি জাতীয় জিনিসের উপর মারিবে। যদি হাতে ধূলা বেশী লাগে, তবে হাতের পিঠ দ্বারা ৩ টি টোকা দিয়ে কম করে নিবে।
৩.দুই হাতের আঙ্গুলের মাথা একত্রিত করে হাতের তালু এবং আঙ্গুলের পেট দ্বারা চুলের গোড়া হতে থুতির নিচ পর্যন্ত একবার মুখমন্ডল মাসাহ করবে।
৪. আবার দুই হাতের তালু মাটি অথবা মাটি জাতীয় জিনিসের উপর মারিবে। ধূলা বেশী হইলে, পূর্ব ত্বরীকায় কমিয়ে নিবে।
৫. তারপর ডান হাতের ৪ আঙ্গুলের মাথার পিঠে বাম হাতের ৪ আঙ্গুলের পেট রাখিবে।
৬. ডান হাতের পৃষ্ঠভাগ দিয়ে বাম হাত টেনে ডান হাতের কনুই পার করে বাম হাতের তালু এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ডান হাতের কনুইর ভিতর দিক দিয়ে জড়িয়ে ধরে টেনে কব্জি পর্যন্ত এনে ডান হাতের আঙ্গুল গুলির মাথা একত্র করে উপর দিয়ে মাথা পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
৭. দ্বিতীয়বার ডান হাতের ৪ আঙ্গুলের পেট বাম হাতের ৪ আঙ্গুলের পিঠে রেখে মাসাহ্ কনুই পার করে ডান হাতের তালু এবং বৃদ্ধাঙ্গুলির পেটের দ্বারা কনুইর ভিতর ভাগ জড়িয়ে ধরে মাসাহ্ টেনে বাম হাতের আঙ্গুল গুলি একত্র করে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
৮. এক হাতের আঙ্গুলের পেট দ্বারা অন্য হাতের আঙ্গুলের পিছন দিক দিয়ে খিলাল করবে।
(তায়াম্মুম পুর্ণ হয়ে গেল)।
উপরোল্লেখিত তায়াম্মুম গোসল এবং উজু উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
তায়াম্মুম অন্যকেও করিয়ে দেয়া যেতে পারে। শুধু যার তায়াম্মুম তারই নিয়্যত করতে হবে।

উজু ভঙ্গের কারণ ৭ টি

১. পায়খানা-পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বাহির হওয়া
২. মুখ ভরিয়া বমি হওয়া
৩. শরীরের ক্ষতস্থান হতে রক্ত, পুঁজ বা পানি বাহির হয়ে গড়ে পড়া
৪. থুতুর সঙ্গে  রক্তের ভাগ সমান বা বেশী হওয়া
৫. চি বা কা হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া
৬. পাগল মাতাল ও অচেতন হওয়া
৭. নামাজের উচ্চস্বরে হাঁসা

(উল্লেখ্য যে, উজুর পরিবর্তে যদি তায়াম্মুম করে থাকে, তবে উল্লেখিত বিষয় সমূহ দ্বারা তায়াম্মুম ভেঙ্গে যাবে।) এতদ্ব্যাতীত পানি ব্যবহারে সক্ষম হলে তায়াম্মুম ভেঙ্গে যায়।

নামাজের বাহিরে এবং ভিতরে ১৩ ফরজ :

নামাজের বাহিরে ৭ ফরজ :

১. শরীর পাক
২. কাপড় পাক
৩. নামাজের জায়গা পাক
৪. সতর ঢাকা
৫. ক্বিবলামুখী হওয়া
৬. ওয়াক্তমত নামাজ পড়া
৭. নামাজের নিয়্যাত করা


নামাজের ভিতরে ছয় ফরজ :

১. তাকবীরে তাহরীমাহ্ বলা
২. দাঁড়াইয়া নামাজ পড়া
৩. ক্বিরাআত পড়া
৪. রুকু করা
৫. দুই ছিজদা করা
৬. আখেরী বৈঠক
২৭ নামাজের ওয়াজিব চৌদ্দটি :
১. আলহামদু শরীফ পুরা পড়া
২. আলহামদুর সঙ্গে সূরা মিলানো
৩. রুকু সেজদায় দেরী করা
৪. রুকু হতে সোজা হয়ে খাড়া হওয়া
৫. দুই সেজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা
৬. দরমিয়ানী বৈঠক
৭. দুই বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া
৮. ইমামের জন্য ক্বিরাআত আস্তে এবং জোরে পড়া
৯. বিতরের নামাজে দোয়া কুনুত পড়া
১০. দুই ঈদের নামাজে ছয় ছয় তাকবীর বলা
১১. ফরজ নামাজের ১ম দুই রাক'আতকে ক্বিরাতারে জন্য নির্ধারিত করা
১২. প্রত্যেক রাক'আতের ফরজগুলির তারতীব ঠিক রাখা
১৩. প্রত্যেক রাক'আতের ওয়াজিবগুলির তারতীব ঠিক রাখা

১৪. 'আসসালামু আলাইকুম' বলে নামাজ শেষ করা